Wednesday 28 October 2020

আফ্রিকায় লালমাইয়ের শাহাদাতকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ৩ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে



কুমিল্লা সময় ডেক্সঃ দক্ষিণ আফ্রিকায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলার চৌদ্দধোনা গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল মজিদের ছেলে শাহাদাতকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ৩ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে।দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের রেখা পার্কের ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরকীয়ার বলি হন শাহাদাত। গত বছর ২ জুলাই গুলিবিদ্ধ হন (ছানা ও ফারুক এবং জসিম। আফজাল নামের এক ব্যক্তিকেও গুলি করেন এর ১৫ দিন আগে। ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর লালমাইয়ের শাহাদাত হোসেনকে গুলি করে দোকানে ফেলে যায় ওখানে থাকা বাংলাদেশী অভিযুক্ত আসামীরা। হাসপাতালে নেয়ার সময় মৃত্যু বরণ করেন শাহাদাত। এই সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দায়ী করে তখনই কয়েকটি মামলা হয় রেখা পার্ক পুলিশ স্টেশনে। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কতিপয় প্রবাসী বাংলাদেশী সেদেশের পুলিশকে সমঝোতা করে বলে অভিযোগ উঠে। মামলাগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়। দীর্ঘদিন পর রেখা পার্ক পুলিশ স্টেশনে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার কমান্ডার হিসেবে যোগদান করেন। এর পরপরই থানায় দীর্ঘদিন চাপা পড়ে থাকা বিভিন্ন মামলার ফাইলগুলো পুনরায় তদন্ত শুরু করেন ওই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কমান্ডার। এরপর বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর শাহাদাত হত্যার তথ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক, পালাশ কুমার-রবিন-লাভলু, নামের তিনজন বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে। ঐ সকল হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলে তদন্তে। গত ১৬ অক্টোবর সাউথ আফ্রিকা পুলিশ প্রশাসন লাভলু কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পলাতক রয়েছে, পালাশ কুমার এবং বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুরে রয়েছে রবিন। গত ১১/১০/২০২০ পুলিশ কমান্ডার নিজ দায়িত্বে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশী নাগরিক ছানাকে রেখা পার্ক থানায় নিয়ে আসেন, তার মামলার বিষয়ে পুনরায় খুলে বলতে বলেন, ওই সময় পুলিশ বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করেন এবং ছানাও তার বক্তব্য লিখিত ভাবে দেন। এই বিষয়ে ছানা-ফারুক এবং জসিমের, পক্ষে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশী সংগঠন “বাংলাদেশ পরিষদ অরগানাইজেশন”, প্রবাসী ছানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শাহাদাতের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন, শাহাদাত হত্যা কান্ডের প্রধান অভিযুক্ত মোঃ রবিন। শাহাদাতের মৃত্যুর পরপরই রবিন দেশে আসে ও তার স্ত্রীকে বিয়ে করে সংসার পেতেছে, বিয়ের সময় রবিনের হাতে এসিড পড়া দাগ ছিল। শাহাদাতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রোজিনা লালমাই উপজেলার বাতাবাড়িয়া গ্রামের নুরুল হক মাষ্টারের মেয়ে ও পালপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। এব্যাপারে জানতে ফাতেমা আক্তার রোজিনাকে মোবাইলে কল করলে কলটি রিসিভ করেন অভিযুক্ত রবিন। রবিন বলেন, আমি শাহাদাত হত্যার সাথে জড়িত নই। নিহত শাহাদাতের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া ও পরে বিয়ে করার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

No comments:

Post a Comment