Thursday 30 April 2020

নিহত আমানউল্লাহ পরিবারকে সান্তনা দিতে ইছাপুরায় আ,লীগ নেতা অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু : কুমিল্লার সময়




প্রদীপ মজুমদার  : গত ১৭ এপ্রিল লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরায় স্হানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দেলুর হাতে নির্মম ভাবে নিহত আমানউল্লাহর পরিবারকে সান্তনা দিতে ও এই নেক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে জড়িত দেলু মেম্বার গংদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাবেক সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রবাস বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু। তিনি বলেন মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা একটি শান্তিময় এলাকা এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে সে যে-ই হউক তার কোন ছাড় নেই। মন্ত্রী মহোদয় ঘটনা সম্বন্ধে সব জানেন সে মোতাবেক প্রশাসনকে বলেছেন সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে। আজ ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত আমানউল্লাহর বাড়ীতে সমবেদনা জানাতে গিয়ে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু এসব কথা বলেন। তিনি নিহত পরিবারের খোঁজ খবর নেন। শেষে নিহতের কবর জিয়ারত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক, আ,লীগ নেতা মাষ্টার ফরিদ, মাষ্টার আউয়াল, সাংবাদিকবৃন্দ। 

ঘটনার বিবরণঃ
-----------------------বাংলাদেশ প্রতিদিন 
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শূন্যে তুলে আছাড় মেরে কৃষক বাবাকে হত্যা করেছেন এক ইউপি সদস্য। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার ওই কৃষক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।


প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের কৃষক আমান উল্লাহর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের ছোট ভাই কাঠমিস্ত্রী সোহরাব।

গত ১৬ এপ্রিল রাত ১১টায় দিকে সোহরাব আমান উল্যাহর বাড়িতে গিয়ে তার মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করে। এসময় আমান উল্যাহ ও তার ছেলেরা চোর চোর বলে চিৎকার দেয়। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়ির লোকজন বেরিয়ে আসে।

খুঁজতে গিয়ে সবাই দেখে সোহরাব বাড়ির পাশের ধান খেতে শুয়ে আছে। এসময় তাকে ধরে উত্তমমধ্যম দেয়।
এখবর পেয়ে সোহরাবের ভাই দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে ১০/১২জন রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমান উল্যাহর বাড়িতে হামলা করে।  

পরদিন ১৭ এপ্রিল দুপুরে গ্রামের গণ্যমান্যদের আমান উল্যাহ বিষয়টি জানায়। গ্রামবাসীকে জানানোর কারণে দুপুরে দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে তার ভাইসহ কয়েকজন আমান উল্যাহকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।

ঘর থেকে বের করার সময় দেলোয়ার মেম্বার আমান উল্যাহকে শূন্যে তুলে মাটিতে আছাড় দেয়। এরপর সবাই মিলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ইছাপুরা গ্রামের শহীদের বাড়ির সংলগ্ন সড়কের পাশে ফেলে দেয়।  
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এঘটনায় আমান উল্যাহর ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন বিকালে দেলোয়ার মেম্বারসহ এজাহারভুক্ত ৪জন ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনের বিরুদ্ধে লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেন।  

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমাই থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইছাপুরা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে তোফাজ্জল ও আজগর আলীর ছেলে রবিউলকে আটক করে।  

নিহতের ছেলে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, সোহরাবের চরিত্র খারাপ হওয়ায় তার স্ত্রী চলে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে সে আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। খুনি দেলুসহ তার ভাইদের গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই। 
 
লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা শাহবাগ থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করি। দায়েরকৃত মামলায় ৩০২ ধারা সংযুক্তের জন্য আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করি। এখন পর্যন্ত দুইজনকে আটক করেছি। ইউপি মেম্বার দেলোয়ারসহ বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

কুমিল্লায় নতুন ক‌রে ৪ উপজেলায় ৯ জন ক‌রোনা ভাইরাসে আক্রান্ত : কুমিল্লার সময়



 

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লায় আজ বৃহস্পতিবার  ৯ জন নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে ৬ জন দেবিদ্বার উপজেলায় ,১ জন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার,১ জন দাউদকান্দি উপজেলার ও ১ জন মুরাদনগর উপজেলার । এ পর্যন্ত কুমিল্লায় করোনা ভাইরাসে সর্বমোট আক্রান্ত ৭৭ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন, মৃত ব্যক্তিরা হলেন দেবিদ্বার ও মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্ত ৭৭ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯ জন।

উপজেলা ওয়ারী আক্রান্ত সংখ্যা তিতাস ১১ জন, দাউদকান্দি ৮ জন, বুড়িচং ৮ জন, চান্দিনা ৪ জন, দেবিদ্বার ১৬ জন, মেঘনা ১ জন, বরুড়া ৩ জন, ব্রাহ্মণপাড়া ২ জন, সদর দক্ষিন ২ জন, চৌদ্দগ্রাম ১ জন ,মনোহরগঞ্জে ৩ জন, মুরাদনগর ৭ জন, হোমনায় ১ জন ও লাকসামে ১০ জনসহ ক‌রোনা ভাইরা‌সে আক্রান্ত মোট ৭৭ জন।

সর্বমোট ক‌রোনা ভাইরা‌সের নমুনা সংগ্রহ ১৬৯৪ জন। রিপোর্ট প্রাপ্তি ১৪৯৩ জন।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পেইজ থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কৃষকের ধান কেটে দিল যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ফ্রেন্ডস সোসাইটি : কুমিল্লার সময়





লালমাই প্রতিনিধি :  কুমিল্লার লালমাই উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ফ্রেন্ডস সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে দলীয় নেতাকর্মীরা দরিদ্র কৃষক আদম আলীর জমিনের ধান কেটে বাড়ী পৌছে দেন। 

৩০শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার ভূলইন উত্তর ইউনিয়নের বড় চলুন্ডা গ্রামের এক অসহায় দরিদ্র কৃষকের ৯ শতক জমির ধান কেটে দেন লালমাই ফ্রেন্ডস সোসাইটি, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় ধান কাটা উদ্বোধন করেন প্রবাস বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও সদর (দঃ) উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু।


এসময় উপস্থিত ছিলেন ভূলইন উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মমিন মজুমদার, আ’লীগ নেতা আবদুল হালিম, আবুল কালাম, যুবলীগ নেতা লোকমান হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল বাশার, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন ভূট্টো প্রমুখ।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দরিদ্র অসহায় কৃষকদের পাশে আমরা সব সময় আছি।যারা সেচ্ছায় এ ধান কাটায় অংশগ্রহন করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।


অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এই দেশের কৃষকরা আমাদের চালিকা শক্তি, তাই দেশের এই সংকট মূহুর্তে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ফেন্ডস সোসাইটি যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

Wednesday 29 April 2020

চকলেটের অপেক্ষায় করোনায় সম্মুখ যোদ্ধা নিহত পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ



 

কুমিল্লার সময় ডেক্স : করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) দেশে প্রথম কোনো পুলিশ সদস্য হিসেবে মৃত্যু জসিম উদ্দিনের (৪০)। তিনি কনস্টেবল হিসেবে ওয়ারী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে। সেখানেই থাকে পরিবার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি এ পুলিশ কনস্টেবল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মারা যান। কিন্তু জানে না তার পাঁচ বছরের সন্তান আব্দুল্লাহ। সে এখনো অপেক্ষায় আছে বাবা ফিরবে চকলেট নিয়ে।  

বুধবার পুলিশ সদস্যরা জসিম উদ্দিনের বাড়ি গেলে আব্দুল্লাহ উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। সে ভেবেছিল তার বাবাও এসেছেন।  
এভাবেই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ দেন পুলিশ সদস্য এএসপি তানভীর সালেহিন ইমন।  

তিনি ফেইসবুকে লেখেন, 'অপেক্ষায় আছে ৫ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ , বাবা আসবে তার জন্যে চকলেট নিয়ে। পুলিশ চাচ্চুদের দেখে উৎফুল্ল মনে প্রশ্ন "আব্বু কি চলে আসছে?" অবুঝ শিশুটি তার পৃথিবীতে এতক্ষণে কি ঘটে গেছে বুঝতে না পেরে দিব্যি হাসছে, খেলছে, আবার মা, বোন, দাদীর কান্না দেখে বিস্মিতও হচ্ছে! তার এসপি আংকেল এবং অন্য পুলিশ চাচ্চুদের চোখেও অশ্রুধারা..! এর মধ্যেই শিশু সুলভ আবদার ছবি তুলে দেয়ার।

প্রিয় আব্দুল্লাহ, বাবা আমরা তোমার চোখে তাকিয়ে তখন বলতে পারিনি জীবনের নির্মম সত্যটি!!

একদিন বড় হয়ে জানতে পারবে তোমার পুলিশ বাবা মহামারি করোনা যুদ্ধে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করেছে দেশমাতৃকার তরে।

মনোহরগঞ্জে বজ্রপাতে রিকশা চালকের মৃত্যু : কুমিল্লার সময়



 

মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধি :  কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ক্ষেত থেকে ধান বাড়ি নেয়ার পথে বজ্রপাতে মো. শাহাজাহান (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। মো. শাহাজাহান মনোহরগঞ্জ উপজেলার আশিরপাড় গ্রামের মৃত কালামিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রিকশা চালক ছিলেন। 
স্থানীয় বাসিন্দা মাস্টার আমিন শরীফ জানান, সকাল থেকে শ্রমিকদের সাথে জমিতে ধান কাটছিলেন। কাটা শেষে ধান বাড়ি নেওয়ার পথে বজ্রপাতে ক্ষেতেই তিনি মারা যান। পরবর্তীতে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নেয়া হয়েছে। 
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর কথা শুনে মরদেহ দেখতে গিয়ে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ সহায়তা থেকে ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

করোনায় নিহত ডিএমপি কনস্টেবল জসিম কুমিল্লায় বাবার কবরের পাশে শায়িত : কুমিল্লার সময়




 
স্টাফ রির্পোটার : করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মারা যান পুলিশের কনস্টেবল জসিম উদ্দিন। নিহত কনস্টেবল জসিম (৩৯) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মৃত আবদুল হকের ছেলে।

আজ বুধবার বিকেলে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয় জসিমকে।

নিহত জসিমের জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর হোসেন মিঠু, পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ আলম, দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেন, এস আই সুজয় ও পরিবারের লোকজন।


নিহত জসিম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমিপ) ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানায় কর্মরত ছিলো। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

গত ২৪ এপ্রিল তার শরীরে প্রথম করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় তিনি মারা যান।

আজকের পরীক্ষার রিপোর্ট আসে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইফতেখার আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তার স্যাম্পল নিয়ে আইইডিসিআরে পাঠানো হয় এবং তাকে পাঠানো হয় রাজারবাগে হোটেল আল সালামে পুলিশি তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে। গত রাতে তিনি ঢামেক হাসপাতালে মারা যান। আজকে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পেয়েছি।’

করোনাযুদ্ধে প্রথম পুলিশ সদস্য হিসেবে জসিম মারা যাওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ওয়ারীর ডিসি ইফতেখার। তিনি বলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তিনি আরও বলেন, জাতীয় ও বৈশ্বিকভাবে করোনার যে প্রাদুর্ভাব, এটা মোকাবিলায় চিকিৎসক-নার্সদের পাশে থেকে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশ সদস্য হিসেবে করোনায় জসিমই প্রথম মারা গেলেন। এটা আমাদের বাহিনীর জন্য দুঃখের ও অপূরণীয় ক্ষতির। দুঃখজনক যেকোনো মৃত্যুই কাম্য নয়।

‘আবার একই সঙ্গে (জসিমের মৃত্যু) গর্বের বিষয়। করোনার এই সংকটকালে জাতির সেবায় পুলিশ কনস্টেবল জসিম যেভাবে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেলেন, তা বাংলাদেশ পুলিশকে, একই সঙ্গে পরিবারকেও গর্বিত করবে। এই মহাদুর্যোগ মুহূর্তে সম্মুখ সারিতে থেকে সাহস, দৃঢ়তা রেখে যে জাতি ও দেশকে ডিএমপির তথা পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে যে সহযোগিতা তিনি করে আসছিলেন, এটা আসলে গর্বের মৃত্যু বলে আমি মনে করি। তার মৃত্যু পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্যকে গর্বিত করবে, উৎসাহিত করবে, কাজের মনোবলকে আরও বাড়িয়ে দেবে’- বলেন ওয়ারী ডিসি ইফতেখার আহমেদ। 

করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়ী লকডাউন করলো লালমাই উপজেলা প্রশাসন : কুমিল্লার সময়



 

লালমাই প্রতিনিধি : কুমিল্লার লালমাইয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত এক ব্যক্তির পরিবারসহ ওই বাড়ীর ৪টি পরিবার ৫দিন ধরে লক ডাউনে রয়েছে। রিপোর্ট আসতে বিলম্ব হওয়ায় করোনা আতংক বিরাজ করছে ওই পরিবারসহ স্থানীয়দের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যান উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের সুভাস চন্দ্র দাস (৬৫)। খবর পেয়ে ওইদিন সকাল ১০টায় লালমাই উপজেলা প্রশাসন বাড়ীটি লক ডাউন করে দেন এবং মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করেন। মৃত্যুর আগে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসক, দুইজন নার্সিং অফিসার, একজন স্বাস্থ্য সহকারী এবং তার সৎকারে জড়িত ৪জন স্বেচ্ছাসেবক ২৫এপ্রিল থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। লালমাই থানা পুলিশের একটি টিমও লক ডাউনে থাকা বাড়ীটির সামনে নিয়মিত ডিউটি করছেন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪টি পরিবারে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা সন্দেহে লালমাই উপজেলার মোট ২৮জন ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে ১৯ এপ্রিলের আগে নমুনা সংগ্রহ করা ৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। রিপোর্ট না আসা বাকী ২১ জনের পরিবার রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। এদের মধ্যে লাকসামে করোনা সনাক্ত হওয়া মসজিদের মুয়াজ্জিন এনায়েতের রুমমিট লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের ইয়াছিনের পরিবারও রয়েছেন।

লালমাই উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম ইয়াসির আরফাত বলেন, লালমাইয়ে ২৮জনের মধ্যে ৭ জনের রিপোর্ট পেয়েছি। এখন পর্যন্ত কারও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি। করোনা ভাইরাস থেকে নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।

লালমাইয়ে অসহায় মহিলার ধান কেটে দিলো ছাত্রলীগ : কুমিল্লার সময়



প্রদীপ মজুমদার : কাল বৈশাখীর ছোবল। মাঠ জুড়ে সোনালি ফসলের ঢেউ। পাকা ধানের মধুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা হওয়ার পরিবর্তে চিন্তার ভাজ পড়েছে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের কৃষাণী শরবতের নেছার কপালে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে অন্য জেলা থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় শ্রমিক আসেনি। সময় মত ধানগুলো কাটতে না পারলে ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই নষ্ট হবে। সংকটের এই দিনগুলোতে ক্ষেতের ধান গোলায় তুলতে না পারলে ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাতে হবে, এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন অসহায় কৃষাণী শরবতের নেছা।

আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ১০/১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কৃষাণী শরবতের নেছার প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ক্ষেতের ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে ও মাথায় করে বাড়ি এনে দেন।

অসহায় কৃষাণী শরবতের নেছা বলেন জমির পাকা ধান নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম, শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। ছাত্রলীগের ছেলেরা এসে আমার ধান কেটে দিয়ে আমার ভাবনা দূর করেছে। এতে আমার ধান কাটার খরচও বেঁচে গেছে। তারা যে আমার উপকার করেছে, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা তাদের মঙ্গল করুক।

বাকই উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে মোতাবেক আমরা কৃষাণীর ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Sunday 26 April 2020

লালমাইতে অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ত্রাণ বিতরণ কমিটি গঠন : কুমিল্লার সময়




 
প্রদীপ মজুমদার : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দুস্থ, অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপির ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শনিবার ২৫ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব কে এম সিংহ রতনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন মজুমদারকে সমন্বয়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ত্রাণ বিতরণ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ - সভাপতি আবদুল মতিন চেয়ারম্যান, সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,প্রবাস বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এম এ মোতালেব, যুবলীগ নেতা কাজী কামরুল হাসান ভুট্টো। 

উল্লেখ্য এই কমিটির সমন্বয়ক আবদুল মমিন মজুমদার ও সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করায় বর্তমানে তাদের সুষ্ঠু ভাবে ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে জানা যায়। 

ত্রাণ বিতরণ কমিটির সমন্বয়ক আবদুল মমিন মজুমদার জানান, অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুস্থ, অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সঠিক তালিকা প্রণয়ন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণকে সচেতন করা, নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং এসব কাজে সার্বিকভাবে সকলকে সহযোগিতা করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ত্রাণ বিতরণ  কমিটির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।

ইমাম,খতিব, মুয়াজ্জিনদের উপহার সামগ্রী দিলেন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম : কুমিল্লার সময়


 


প্রদীপ মজুমদার : পবিত্র রমজান উপলক্ষে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ২৬ এপ্রিল রবিবার সকালে করোনা পরিস্থিতির  ৬৫ মসজিদের ৬৭ জন ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিনকে উপহার হিসেবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে হাদিয়া ও ইফতার সামগ্রী দিয়েছেন। চেয়ারম্যান আবুল কাশেম এর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সম্মানিত ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনদের  উপহার সামগ্রী দেয়া হয় । এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সরওয়ার, লালমাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আইউব, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক আমিন প্রমুখ। 
দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনা না করে,দলমত নির্বিশেষে সবাইকে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত। বিশেষ করে মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হচ্ছে মসজিদ , একজন মুসলমানের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন ইমামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।তিনি আরও বলন, এই সংকটময় পরিস্থিতে মানবিক দৃষ্টি কোণ থেকে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে সরকারের পাশাপাশি কয়েকজন  ব্যক্তির উদ্যোগে ৪ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও হতদরিদ্রদের মাঝে কন্টোল রুমের মাধ্যমে খাদ্য বিতরন অব্যাহত রয়েছে । এছাড়া রমজান মাসে অসহায় পরিবারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। 

লালমাইতে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানবেতর জীবন : কুমিল্লার সময়




প্রদীপ মজুমদার : বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার ছোবলে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘসময় যাবৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে বেসরকারিভাবে পরিচালিত কুমিল্লার লালমাই উপজেলার অর্ধশত কিন্ডারগার্টেনের কার্যক্রম। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

লালমাই উপজেলা শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪৮টির মতো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। ৫ হাজার শিক্ষার্থী এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এদের মধ্যে সমাপনী পরীক্ষায় লালমাই উপজেলায় শীর্ষস্থানও এসব প্রতিষ্ঠান ধরে রেখেছে। এর ফলে অনেক বাবা-মা তার সন্তানদের কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করে। লালমাইয়ে কিন্ডারগার্টেনগুলোতে কর্মরত আছেন প্রায় পাঁচ,শ শিক্ষক-কর্মচারী। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বেতনও বন্ধ হয়েছে। বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন। এর ফলে কোনোদিক থেকেই তারা উপার্জন করতে পারছেন না। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে তারা শিক্ষক হিসেবেই সম্মানীয়। ফলে তারা না পারছে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে, না পারছে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে।

লালমাই উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনে আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, অর্থ না থাকলেও শিক্ষক পরিচিতির কারণে আমরা অন্যের নিকট সাহায্য চাইতে পারি না। চলমান দুর্যোগে আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কিন্ডারগার্টেন মালিকদেরও সরকারি প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি।

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম ইয়াসির আরাফাত জানান, আমরা তাদের বিষয়টি চিন্তা করছি। আশা করছি তারাও সহায়তার আওতায় আসবে। তারা চাইলে স্ব স্ব ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছে বলে সহযোগিতা নিতে পারে।

লালমাইয়ে অসহায়দের সাহায্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটি গঠিত : কুমিল্লার সময়




প্রদীপ মজুমদার  : কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত সংকটকালীন সময়ে দুস্ত ও অসহায় হত দরিদ্র্যদের মাঝে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমাই  উপজেলা শাখার উদ্যোগে ত্রাণ কমিটি গঠিত হয়েছে। গত (২৫ এপ্রিল ) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হামিদে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এতে এম এ হামিদকে আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম সিংহ রতনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
 
এই কমিটি অসহায় গরীব কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবে বলে জানান কমিটির সদস্য সচিব কে এম সিংহ রতন। 
এছাড়া এই ত্রাণ কমিটি উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে হয়েছে বলে তিনি জানান।  

Saturday 25 April 2020

জানালা ভেঙে পালিয়েছে করোনা রোগী : কুমিল্লার সময়





মুরাদনগর প্রতিনিধি : কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী ঘরের জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া রোগী কাজিয়াতল গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান। তিনি কিছুদিন পূর্বে নারায়নগঞ্জ থেকে এলাকায় এসেছিলেন।
জানা যায়, কাজিয়াতল গ্রামের মিজানুর রহমানের করোনা শনাক্তের পর শুক্রবার সকালে আক্রান্তের বাড়ীসহ আশেপাশের ১৬টি বাড়ী লকডাউন করে প্রশাসন। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় লকডাউন থাকা সত্বেও ঘরের জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায় সে। এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
শুক্রবার সকালে মুরাদনগরে প্রথমবারের মত দুজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি শনাক্ত করা হয়। নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মুহাম্মদ নাজমুল আলম। একজন দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের অপরজন রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও বাঙ্গরাবাজার থানার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের কাঠালিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, পালিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে খুজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

লাকসামে দুই সহোদরের করোনা শনাক্ত : মোট আক্রান্ত-৪ : কুমিল্লার সময়





লাকসাম প্রতিনিধি : নোয়াখালীর চৌমুহনীতে করোনায় মৃত সহকর্মীর সংস্পর্শ থেকে আসা কুমিল্লার লাকসামের সেই দুই সহোদরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দুই সহোদরের বাড়ি পৌরশহরের দক্ষিণ লাকসাম। আজ শনিবার সকাল ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার দক্ষিণ লাকসাম সাহাপাড়া এলাকার দুই সহোদর চৌমুহনীতে একই ফার্মে চাকুরি করতেন। ওই ফার্মে চাকুরিরত এক সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সহোদরের মধ্যে একজন নমুনা সংগ্রহের ৮দিন আগে লাকসামে চলে আসেন। এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত সহকর্মী মারা গেলে গত বুধবার (২২ এপ্রিল) রাতে অন্য ভাইও বাড়িতে চলে আসেন। দুই ভাই করোনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকার খবর পেয়ে ওইদিন রাতে স্থানীয় প্রশাসন তাদের বাড়িসহ আশে-পাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন করে দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩এপ্রিল) সকালে সেই দুই সহোদরের নমুনা সংগ্রহ করে আইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। আজ শনিবার (২৫এপ্রিল) সকালে আইইডিসিআর থেকে প্রেরিত রিপোর্টে তাদের করোনা ফলাফল পজেটিভ আসে। নতুন দুইজন শনাক্ত হওয়ায় লাকসামে করোনায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জনে দাঁড়ালো। এতে স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ‘করোনা র‌্যাপিড রেসপন্স টীম’ এর সদস্য ডা. আবদুল মতিন জানান, আইইডিসিআর থেকে প্রেরিত রিপোর্টে দুই সহোদরের করোনা পজেটিভ এসেছে। তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে। 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী ওই দুই সহোদরের রিপোর্ট পজেটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দেন।


 

Friday 24 April 2020

লালমাইতে কৃষকের ধান কেটে দিল বাকই উত্তরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা : কুমিল্লার সময়





প্রদীপমজুমদার : করোনায় শ্রমিক সংকটের পরিস্থিতিতে কৃষকের ধান কেটে দিল কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

রবিবার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহ্ পরান সওদাগরের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল ইউনিয়নের কাপাসতলা গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলামের ৬০ শতক জমির বোরো ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দেন।



কৃষকরা শুধু ধান কাটার জন্য কাস্তে দিয়ে সহযোগিতা করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে।

নিজ উদ্যোগে ধান কাটার সময় বাকই উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিফাত মজুমদার ,  সহ-সভাপতি তানভীর হাসান, সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো.মোশাররফ হোসেন সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আতিকুর রহমান রনি, ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.রানা সহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের স্বেচ্ছায় এই ধান কাটায় কৃষকরা তাদের সাধুবাদ জানান।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ্ পরান সওদাগর জানান, স্বেচ্ছায় গরীব কৃষকদের ধান কাটা অব্যাহত থাকবে।

নাঙ্গলকোটে এক নারী কর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টা : কুমিল্লার সময়


  

স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ট্রমা হাসপাতালের একজন নারী কর্মী হাসপাতালে কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে দু’ বখাটে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের ওই নারী কর্মী উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভাতড়া গ্রামের তিন কন্যা সন্তানের জননী বলে জানা গেছে। গত ২০ এপ্রিল সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ওই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার খালের উপর ব্রিজ থেকে ওই নারীকে টেনেহেচড়ে বখাটেরা খালের ভিতরে নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় চুরি ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারী তার হতে থাকা মোবাইলের আলোতে তাদেরকে চিনে ফেলে। পরে তাদের নাম ধরে আত্মচিৎকার করলে ভয়ে বখাটেরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত বখাটেরা হলো একই গ্রামের মৃত ছেরু মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ ও আবুল হাশেমের ছেলে ফারুক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিন কন্যা সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার ওই নারীর। স্বামী অসুস্থ থাকায় নিজেই উপার্যনে নেমে যান। চাকুরী নেন নাঙ্গলকোট ট্রমা হাসপাতালে। প্রতিদিন সে একই সময়ে হেঁটে বাড়ী যান। গত সোমবার রাতে কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে বখাটেরা পূর্ব খেকে ব্রিজ এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। ওই নারী ব্রীজের উপর উঠা মাত্রই বখাটে শহিদ ও ফারুক তার মুখ চেপে ধরে টেনেহেছড়ে শুকনো খালের ভিতর দিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ভাতড়া গ্রামের অভিযুক্ত শহিদকে আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

কর্মহীন জয়শ্রী ও কমরপুরের ৭০ পরিবার পেলো ইফতার সামগ্রী : কুমিল্লার সময়





লালমাই প্রতিনিধি : লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের জয়শ্রী ও কমরপুরের ৭০ টি অসহায় কর্মহীন পরিবার পেলো ইফতার উপহার সামগ্রী। তরুণ উদীয়মান যুবনেতা সাইফুল শামীমের নেতৃত্বে ওই গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রবাসীদের অর্থায়নে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ ঘরে বন্দী।


কাজ নেই বিশেষ করে যারা দিন দিন খায় তারাই বেশি সমস্যায় পড়েছে এমত পরিস্থিতিতে আজ ২৪ এপ্রিল শুক্রবার জয়শ্রী ও কমরপুরের ৭০ টি পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যুবনেতা সাইফুল শামীম বলেন যারা এই মানবিক কাজে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আমাকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রত্যেককে আমি ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি এমন কঠিন বিপদের সময় মানুষের পাশে দাড়াতে পেরে নিজের কাছে আত্মতৃপ্তি লাগছে। এমন পরিস্থিতিতে  আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকবো। 
                                         ইফতার সামগ্রীর মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ছিল     ছোলা,ডাল,পেয়াজ,সয়াবিন তেল,আলু ও খেজুর।

মানবিক সহায়তায় ভাইস চেয়ারম্যান মিজান : কুমিল্লার সময়




প্রদীপ মজুমদার : লালমাই উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর মজুমদার গরীব দুঃখী মানুষের অতি আপনজন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগ থেকেই মানুষকে সাহায্য সহায়তা করে যাচ্ছেন। এখনও যেখানে সমস্যা সেখানেই সাহায্যের হাত প্রসারিত করেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে সকল অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাড়ানোই মূল লক্ষ্য বলে জানান ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার। তিনি বলেন মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে আমি উপজেলার অসহায় কর্মহীন বেকার মানুষের পাশে ছিলাম আছি আগামীদিনে থাকবো। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২৪ এপ্রিল পবিত্র মাহে রমজানের কে সামনে রেখে।পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের দরবেশ পাড়া ৩০টি  হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ অর্থদান করেন। 
এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 

Thursday 23 April 2020

অসহায় আত্ন মানবতার সেবায় চিত্রনায়িকা নিঝুম : কুমিল্লার সময়




ইউনিভার্সেল কামালঃ
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী ও অসহায় দরিদ্র, মানুষের মাঝে

আসন্ন রমজান উপলক্ষে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিজ গ্রাম ও তার আশেপাশের কিছু পরিবারকে ইফতার সামগ্রী উপহার দিয়েছেন কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার চৌকনন্দী গ্রামের মেয়ে চিত্রনায়িকা নিঝুম রুবিনা ।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারনে ইতোমধ্যেই কুমিল্লা জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।এ লকডাউনের কারনে চিত্রনায়িকা নিঝুম রুবিনা বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। নিজের কর্মস্থলে ফিরতে না পারায় নিজের পরিবার ও এলাকার মানুষের সাথে সময় কাটাচ্ছেন।বাড়িতে বসেই থেকেই অংশ নিচ্ছেন সামাজিক ও মানবিক কাজে ।

এ প্রসঙ্গে নিঝুম বলেন, সামনে রমজান মাস। সেজন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ইফতার সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়েছে। করোনার কারনে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে নিজ গ্রাম ও পাশের কয়েকটি গ্রামের কিছু পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি।

তিনি জানান, করোনার ভয়াল থাবায় লকডাউনের শুরু থেকেই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ । সেজন্য কর্মীদের জন্যও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। যারা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তাদের প্রতিও আমার একটি দায়িত্ব আছে। আমি তাদের বেতন, বোনাস দিচ্ছি। প্রতি মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। এর বাইরে ঢাকায়ও কিছু মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।

সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়ে নিঝুম বলেন, আমি চাই আমার মতো যাদের পক্ষে সম্ভব তারাও এগিয়ে আসবেন। সহযোগিতা করবেন সাধ্যমতো। আমরা সকলে যদি এগিয়ে আসি তাহলে মানুষ অভুক্ত থাকবে না। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন মানুষের পাশে সবসময় থাকতে পারি।

এ সময় উদ্দীপন বাগমারা’র স্বেচ্ছাসেবক নুরে আলম বাবু, জাহিদ হাসান মুরাদ, হিমেল সহ অনেকে তাকে সহায়তা করেছেন। উদ্দীপন বাগমারা’র পক্ষ থেকে চিত্রনায়িকা নিঝুম কে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, নিঝুম তার ফ্যান ক্লাব ও সামাজিক সংগঠন উদ্দীপন বাগমারা’র মাধ্যমেও বিভিন্ন মানুষকে দীর্ঘদিন থেকে সহায়তা দিয়ে আসছেন।

লালমাইয়ে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ইফতার উপহার সামগ্রী বিতরণ : কুমিল্লার সময়





প্রদীপ মজুমদার : কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার ২৩ এপ্রিল করোনার প্রাদুর্ভাব এর কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া বেকার, ঘরবন্দী, অসহায় পরিবারের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী বিশিষ্ট সংগঠক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপুর নেতৃত্বে ইফতার উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দিনব্যাপী উপজেলার বাগমারা উত্তর, বাগমারা দক্ষিন, ভূলইন উত্তর, ভূলইন দক্ষিন, পেরুল উত্তর, পেরুল দক্ষিন, বেলঘর উত্তর, বেলঘর দক্ষিন ও বাকই উত্তর সহ ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের হাতে সর্বমোট এক হাজার পরিবারের মাঝে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে. এম. ইয়াসির আরাফাত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোঃ সবুজ, বাগমারা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল হক মুন্সী ও সাধারন সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মনির হোসেন, লালমাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: শাহ আলম,সাবেক ছাত্রনেতা হাসান শরীফ মজুমদার, সোলায়নাম, এবং লালমাই প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পূর্বে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য পি পি ই বিতরণ করা হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সহযোগিতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, লালমাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ও লালমাই ফেন্ডস সোসাইটি।
দিনব্যাপী ইফতার উপহার সামগ্রী বিতরণ শেষে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু বলেন, আমাদের সংগঠনের সভাপতি ডাঃ মোতাহার হোসেন ভূঁইয়া জুয়েল ব্যস্ততার কারণে থাকতে পারেননি তিনি সাংবাদিকসহ যারা এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সবাইকে লালমাই উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক অপু বলেন এই মহামারী ঠেকাতে আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে সহায়তা করলে কোন মানুষ কষ্টে থাকবেনা।
সমাজের বিত্তবানদের দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে কৃষকদের পাশে থেকে ধানকাটায় সহায়তার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

লালমাইতে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পিপিই পেলেন সাংবাদিকরা : কুমিল্লার সময়




প্রদীপ মজুমদার : কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট( পিপিই) উপহার পেলেন সাংবাদিকরা। করোনার মহামারীতে জীবনের ঝুকি নিয়ে মাঠে দায়িত্বপালন করছেন সাংবাদকর্মীরা। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য পিপিই দিলেন লালমাই উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি । 

বৃহস্পতিবার ২৩ এপ্রিল সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম ইয়াসির আরাফাত ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি প্রবাস বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু মাঠে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত ১০জন  সাংবাদিকের হাতে এই পিপিই তুলে দেন। এছাড়া দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি তাদের সদস্যদের মাধ্যমে উপজেলার এক হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও বিতরণ করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আইউব, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহআলম,বাগমারা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল হক মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা হাসান শরীফ মজুমদার, সোলায়মান, লালমাই প্রেস ক্লাবের অর্থ -সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জুয়েল রানা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, ক্রিয়া সম্পাদক মীর হোসেন, সহ ক্রীড়া সম্পাদক আলমগীর হোসেন অপু, সহ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু জাফর মোঃ সালেহ,দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন,আমান নূর প্রমুখ। 

পিপিই বিতরণ অনুষ্ঠানে ইউএনও বলেন,সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। তাই যারা ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের কাজ করছে তাদের কিছু পিপিই উপহার হিসাবে প্রদান করেছে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি তাদেরকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই ।  অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু বলেন আমিও একজন সংবাদকর্মী। করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের নিরলস চেষ্টার কারণে মানুষ ঘরে বসে সঠিক খবরগুলো পাচ্ছে। অথচ তাদের সুরক্ষায় কেউ এগিয়ে আসছে না। এটি পরিলক্ষিত হওয়ায় যারা মাঠে কাজ করছে তাদের জন্য আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে পি পি ই বিতরণের উদ্যোগ নেই। 

জগতপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার মানবিক খাদ্য সহায়তা : কুমিল্লার সময়





প্রদীপ মজুমদার : লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগতপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে স্বেচ্ছায় গৃহে থাকা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে (২৩এপ্রিল) সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় মানবিক খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দিয়েছেন জগতপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থা। ওই গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও প্রবাসীদের অর্থায়নে যুব সমাজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ওয়ার্ডের প্রায় একশত ২০ পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
সংগঠনের সভাপতি শরীফুল ইসলাম রুবেল জানান, প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মক্ষম মানুষগুলো স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী। এতে তাদের খাদ্য সমস্যা এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের গ্রামের ধনীদের ও প্রবাসী সহ যুব সমাজের সহায়তায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মানবিক খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। আমরা চাউল,ডাল,ছোলা,তেল, আলু,মুড়ি,পেঁয়া, সাবান দিয়েছি। যতদিন এই প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের খাদ্য সমস্যা থাকবে আমরা তাদের সহায়তা করার চেষ্টা করে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ আমিনুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আবু জাফর মোঃ সালেহ, উপদেষ্টা অহিদুল ইসলাম, সমাজ সেবক মোঃ ইদ্রিস মিয়া, গ্রাম সর্দার ইউনুস মিয়া, দুলাল মিয়া, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গণি, সদস্য নাসির উদ্দীন, ওমর ফারুক, শুকোর আলম,শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
সংগঠনটি ইতিপূর্বে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ব্লাড ক্যাম্পেইন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সহ সচেতনতা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।

লালমাইতে কর্মহীন মানুষের পাশে ইফতার সামগ্রী নিয়ে হোসেন থাই এ্যালুমিনিয়াম : কুমিল্লার সময়





প্রদীপ মজুমদার : করোনাভাইরাসের প্রভাবে ‘ঘরবন্দি’ মানুষ। সবচেয়ে কষ্টে আছে নিম্ন আয়ের লোকেরা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর সহ আশেপাশের এমন কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাগমারা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হোসেন থাই এ্যালুমিনিয়ামের স্বত্বাধিকারী মোঃ হোসেন । আজ বৃহস্পতিবার সকাল তিনি সৈয়দপুরে ১১০টি  অসহায় পরুিবারের মানুষের ঘরে ঘরে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেন।
ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিলো খেজুর,ছোলা,পেয়াজ, মুড়ি,তেল,ডাল,চিনি,সাবান।  নিজস্ব অর্থায়নে তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকেই অসহায় মানুষকে সহায়তা করে যাচ্ছেন। নিজে সহযোগিতা করার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন হোসেন থাই এ্যালুমিনিয়ামের মোঃ হোসেন। তিনি বলেন পুরো দেশ আজ করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগে স্তব্ধ হয়ে গেছে। গত কয়েক যুগে প্রিয় মাতৃভূমির এমন পরিস্থিতি আর কেউ কখনও দেখেনি। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ৬ কোটির মতো মানুষ রয়েছে যারা অসহায়, গরিব, দুঃস্থ। দিনে একবেলা খাবার জোটাতে যাদের হিমশিম খেতে হয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তারাই আজ সব চাইতে বেশি বিপদে। নেই কোনও আয়-রোজগার, তাই পেটেও নেই খাবার। এই মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। তারই অংশ হিসেবে আজ সৈয়দপুর সহ আশেপাশের সকল অসহায়, দুঃস্থ ও গরিব লোকদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যমান মনে হচ্ছে।
আসুন আমরা সবাই মিলে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তাদের পাশে দাঁড়াই। সবাই ভালো থাকুক এবং এ মহামারি থেকে আমরা সবাই যেন মুক্তি পাই। এর কারণে আমাদের বাংলাদেশের কোনও মানুষের যেন মৃত্যু না ঘটে। আমার জায়গা থেকে কিছু করার চেষ্টা করছি। আমি সবার উদ্দেশে বলব, আপনারা যার যার জায়গা থেকে যে যতটুকু পারেন মানুষকে সাহায্য করুন।

Wednesday 22 April 2020

লালমাইয়ের ইউএনও এক ক্লান্তিহীন যোদ্ধা : কুমিল্লার সময়





মজুমদার প্রদীপ : ক্লান্তিহীন ছুটে চলা যোদ্ধা লালমাই উপজেলার ইউএনও কে এম ইয়াসির আরাফাত।  বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিস্তব্ধ ও অচল করে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। তারই ছোবলে আজ আতঙ্কে গৃহবন্দি বাংলাদেশের মানুষ। ইট পাথরের বৃহদাকার রাস্তাগুলো আজ যানবাহন ও জনমানবশূন্য। সবকিছুই যেন প্রাণহীন। বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম ইয়াসির আরাফাত।

উপজেলায় বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করতে জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরের নেতৃত্বে সরকারী নিদের্শনা মেনে ইতোমধ্যে উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছেন। উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছেন তিনি। লকডাউন ঘোষনার পূর্বেই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের যত্রতত্র জায়গায় ঘোরাফেরা না করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেন এবং অবসর সময় কাটানোর জন্য বই ও ফুল উপহার দেন যা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।


উপজেলার পাশ্ববর্তী পশ্চিমে বরুড়া, দক্ষিণে লাকসাম, উত্তরে সদর দক্ষিণ এবং পূর্বে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হলেও বহিরাগত প্রবেশে ইউএনওর কঠোর তৎপরাতায় কেউ উপজেলায় প্রবেশ করতে পারেনি। তাই এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত হননি। এছাড়া বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং হোম কোয়ারেন্টাইন আইন অমান্যকারী ব্যক্তিদের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি না করতে ব্যবসায়ীদের কঠোর নিদের্শনা প্রদান করেন তিনি।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন ওই ইউএনও। গভীর রাতেও সরকারী বার্তা, জনসচেতনামূলক পরামর্শ প্রদান করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ফেসবুক” ওয়ালে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে উপজেলার বাগমারা বাজারকে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং ভূশ্চি বাজারকে ছোট শরীফপুর কলেজের খোলা মাঠে, হরিশ্চর বাজার হরিশ্চর স্কুল ও কলেজ মাঠ, বেলঘর বাজার ও যুক্তিখোলা বাজার স্কুল মাঠে বসানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান পাট বন্ধ, গ্রামের চা দোকানে জনসমাগম এড়িয়ে চলা নিরোধ করে প্রশংসীয় ভূমিকা পালন করেছেন।

সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ এমপি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর এর পরামর্শ ও নির্দেশনায় ইউএনও’র উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার প্রতি ইউনিয়নে ১০০ জন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার যাদের ঘরে এই মুহুর্তে খাবার নেই। কিন্তু সংকোচে কাউকে বলতে পারছেন না তাদেরকে বিশেষ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।



এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি তদারককারী অফিসার এর মাধ্যমে চার ধাপে ইতোপূর্বে প্রতি ইউনিয়নে ৫০০ কেজি, ১ মে. টন, ২ মে. টন ২.৫ টন মোট ৬.০মে. টন চাল সরকারী বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যা ৬০০ হত-দরিদ্র পরিবারকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা আ”লীগের যৌথ উদ্যোগে প্রতি ইউনিয়নে ২০০ হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে। এ হিসেবে সব মিলিয়ে প্রতি ইউনিয়নে ৮০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং করোনা পরিস্থিতি ঠিক হওয়া পর্যন্ত তা চলমান থাকবে।

লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম.ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে গঠিত হটলাইনে (০১৭২৭-৭৬২০৯৩)এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদনকারী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার এমন প্রায় ৩৫০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্যাকেজ উপজেলার সরকারী কর্মকর্তাদের তত্তাবধানে যাচাই-বাচাই করে পরিচয় গোপন রেখে পৌছে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সমস্যায় সহায়তা হিসেবে উপজেলাবাসীকে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত চার কিস্তিতে চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দের বিষয়ে জনগণ ও সরকারের মধ্যে যাতে কোন ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেজন্য শুদ্ধাচারের অংশ হিসেবে জনগণের নিকট সঠিক জবাবদিহিতা বজায় রাখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা তুলে ধরছেন প্রতিনিয়ত।

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ খুবই আতংকিত। লালমাই উপজেলাসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ভ্যানচালক, রিক্সাচালক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ, ভিক্ষুক, অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, এই সংকটময় সময়ে লালমাই উপজেলার লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব ও সকল পুলিশ সদস্য, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জয়াশিসসহ স্বাস্থ্যবিভাগ উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব এবং গ্রাম পুলিশসহ সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ত্রাণের তালিকা প্রস্তুত, বিতরণ, হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিতকরণসহ সকল কাজে আমি সকলের সহযোগিতা পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, লালমাই উপজেলাবাসীকে ভালো রাখতে, নিরাপদে রাখতে আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত উপজেলায় কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তবে উপজেলাবাসী যদি আমাদের আন্তরিক সহযোগিতা না করেন তাহলে সব চেষ্টা, কাজ বৃথা হয়ে যাবে। পাশাপাশি সকল ধরণের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। সামনে পবিত্র মাহে রমজান। সেদিকেও আমাদের নজর আছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।

লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করে এ সংকটময় মুহুর্তে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

Tuesday 21 April 2020

ইফতার উপহার নিয়ে দুইশ পরিবারের পাশে কোরবান আলীর পরিবার : কুমিল্লার সময়





কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়ন কাঁছিয়া পুকুরিয়া গ্রামের হাজী কোরবান আলীর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ২০০ পরিবারকে গতকাল মঙ্গলবার ইফতার উপহার বিতরন করা হয়েছে। 
ইফতার উপহার হিসাবে ছিল ছোলা, মুড়ি, চিনি, তৈল,চিড়া, ডাল 
হাজী কোরবান আলীর ছোট ছেলে সিঙ্গাপুরে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন।
উনি বলেন আল্লাহ চায়তো হাজী কোরবান আলীর পরিবারবর্গ সবসময় মানুষের জন্য কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ। উনি উনার মৃত পিতা ও মাতার রুহের মাগফেরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
হাজী কোরবান আলীর নাতি বাহরাইন প্রবাসী ওমর ফারুক বলেন আমার দাদা সবসময় অসহায়দের পাশে ছিলেন।ঐ ধারাবাহিকতায় আমরা ওয়ারিশ হিসাবে মানুষের পাশে থাকতে চাই।আল্লাহ আমাদের আরো তাওফিক বাড়িয়ে দিক।