লালমাই প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ছোট গোসাই পুষ্কুরনী গ্রামে গণধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া গেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদীকে উক্ত গ্রামের আলী আকবরের ছেলে আলী আশ্বব, মৃত শরাফত আলীর ছেলে মোঃ জাকির, মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মফিজ, মৃত গণি মিয়ার ছেলে আবুল হাসেম প্রায় সময় ভিটটিমকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২১নভেম্বর রাত ১১টার সময় সকল আসামী একযোগে বাদীর ঘরে জোর পূর্বক প্রবেশ করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়, বাঁধা দিলে মারধর করে। বাদীর চিৎকারে স্বামী ঘুম থেকে স্বজাগ হয়ে বিদ্যুতের সুইচ অন করলে বিবাদীগণ পালিয়ে যায়। ২২নভেম্বর সকালে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাদীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। একই দিন বিকাল ৫টায় লালমাই থানায় অভিযোগ দিতে গেলে অফিসার ইনচার্জ আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১০বছর পূর্বে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে ভিকটিমের স্বামী মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বিবাদীগণ বিধবাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিধবা গত ১বছর পূর্বে হাজী ইসমাইল নামে এক লোককে বিবাহ করেন। বিবাহ বসার পর থেকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার পরিমাণ ও নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। এব্যাপারে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ তৈয়ব আলী বলেন, মহিলা খুবই নিরীহ , স্বামীর মৃত্যুর পর একটি প্রভাবশালী মহল তাকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করে আসছে। আমিও চেষ্টা করেছি তাকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে। বিবাদীগণ তাকে ভোগ করতে না পারায় ইউপি চেয়ারম্যান একরাম,ইউপি সদস্য আবুল বাসার (বসু), ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, আমিন ভেন্ডারসহ মাদক দিয়ে উচ্ছেদের ষড়ষন্ত্র করছে। তাকে বাড়ি বিক্রী করে অন্যত্র চলে যেতে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরওয়ারকে ভিটটিম কয়েকবার কুপ্রস্তাব ও নির্যাতনের বিষয়টি জানালে প্রভাবশালী মহলের চাপে তিনিও ব্যর্থ হন। মামলার আইনজীবী ও এপিপি এটিএম ওয়াহিদুর রহমান (মিলন) বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন সেলে দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment