Tuesday 24 November 2020

লালমাইয়ে এ্যবর্ষন সনদে দূর্নীতির অভিযোগ : কুমিল্লার সময়




কুমিল্লার সময় ডেক্সঃ লালমাইয়ে এ্যবর্ষন সনদে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়,বিগত ৫বছর থেকে উপজেলার হদকরা গ্রামের মোঃ বাহার মিয়া একই গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে পারুল আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিবাহ করবে আশ্বাসে সখ্যতা করে। এর মধ্যে পারুলের পেটে   সন্তান আসে। বিবাদী বাহারের ভাই মজিব মিয়া ও মৃত মনোহর আলীর ছেলে আবুল খায়েরের মাধ্যমে পারুলকে জোর করে ঔষধ খাইয়ে পেটের বাচ্ছা নষ্ট করা হয়। এই নিয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পারুল অভিযোগ দিলে বাহার মিয়া শুনানীতে হাজির হয়নি। নিরুপায় হয়ে পারুল কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ বাহার ও তার ভাই মজিব মিয়া এবং আবুল খায়েরের নামে মামলা করে। মামলা নং ৪৩৮/২০, তারিখ-১১-১১-২০২০খ্রিঃ। আদালত মামলার তদন্তভার স্থানীয় চেয়ারম্যান এজিএম সফিকুর রহমানকে দিলে সঠিক তদন্ত করে চেয়ারম্যান প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেন। বিবাদী বাহার মিয়া উক্ত মামলার হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পারুল বেগমের দুইটি বাচ্ছা নষ্ট হয়েছে কিনা তা জানতে বিজ্ঞ বিচারক লালমাই থানা পুলিশের মাধ্যমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পরিচালককে সঠিক পরীক্ষার দায়িত্ব দেন। গত ১৬ নভেম্বর লালমাই থানার এসআই মোঃ জাকির হোসেন নোটিশে জানান যে, ১৯ নভেম্বর সকাল ৯ টায় লালমাই থানায় হাজির থাকতে। পারুল লালমাই থানায় গেলে এসআই জাকির পারুলকে বলে, আপনি ২২নভেম্বর আসেন, এসআই জাকির ২২নভেম্বর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ডাঃ শারমীন সুলতানার পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে তড়িগড়ি করে ২৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন পাঠান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ৫/৬বছর আগে বাহার ও তার পরিবার বাদি পারুল বেগমের মত গরিব ছিল। বাহার মিয়া প্রায় ৫বছর পূর্বে সিলেট এসএমপি এলাকায় ছিনতাই করে এক লাগীস টাকা নিয়ে বাড়িতে আসে। বাহার নিজেকে নিরাপদ রাখতে লাকসাম থানা পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তার সাথে অর্থের বিনিময়ে গভীর সম্পর্ক করে। লাকসাম থানার কিছু কর্মকর্তার আশ্রয়ে বাহার ধর্ষনসহ কুকর্ম করে যাচ্ছে। প্রভাব খাটিয়ে ও অবৈধ অর্থের বিনিময়ে নেগেটিভ রির্পোট আদালতে প্রেরণের অভিযোগ তুলছে স্থানীয় জনগণ। কনকশ্রী গ্রামের এক পঙ্গু প্রবাসী তার দুই বোনের ইজ্জত বাঁচাতে লালমাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দেয়। বাহার বিএনপির সক্রীয়কর্মী। তার অত্যাচারে স্থানীয় জনগণ অতিষ্ঠ। সু-শীল সমাজের প্রত্যাশা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে নিরীহ পারুল বেগমের অধিকার আদায় হবে।

No comments:

Post a Comment