Wednesday 10 June 2020

সাহসী কাজের জন্য পুলিশ সুপার কর্তৃক পুুরস্কৃত হলেন গ্রাম পুলিশ : কুমিল্লার সময়



  

প্রদীপ মজুমদার : কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতীলোটা গ্রামের চারআনী বাড়ীতে রাতের আধারে  বসত ঘরে পেট্রোল ছিটিয়ে নারী হত্যা চেষ্টায় ৩ আসামীকে পুলিশে সোপর্দ করায় সাহসী এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ওই গ্রামের গ্রাম পুলিশ সোহাগ সর্দার ও প্রতিবেশী খোরশেদ আলমকে পুরস্কৃত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার । আজ বুধবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম( বার)  এর পক্ষে তাদের শুভেচ্ছা উপহার ও অর্থ তুলে দেন লালমাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আইউব। 
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতীলোটা গ্রামের পারভীন আক্তারের মেয়ে সালমা কুমিল্লা ইপিজেড এ চাকুরী করার সুবাদে আসামী আবু তাহেরের সাথে ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। পরবর্তীতে আবার তালাকও হয়। তালাকের পর ওই মেয়েকে আবু তাহের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও উত্ত্যক্ত করতে থাকলে উপায় অন্তর না দেখে সালমা তার হাতীলোটা গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। গত ৭ জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১.৩০ টায় আসামী কুমিল্লা সদরের বারপাড়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে (সাবেক স্বামী)  আবু তাহের তার সহযোগী বারপাড়া এলাকার শুভ মিয়া ও মিঠুন সহ এ্যাম্বুলেন্স করে হাতীলোটা আসে। তারা সালমাদের বাড়ীর সবকটি ঘরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন দিবে এমন সময় ওই বাড়ীর খোরশেদ আলম টের পেয়ে চিৎকার করলে গ্রাম পুলিশ সোহাগ সর্দার সহ গ্রামবাসীরা এ্যাম্বুলেন্স সহ তাদের পাকড়াও করে লালমাই থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। 
গ্রাম পুলিশ সোহাগ সর্দার ও প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের সাহসীকতা কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ কুমিল্লার  পুলিশ সুপার তাদের পুরস্কৃত করেন। 

এব্যাপারে গত ৮ জুন লালমাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ৪(৩)৩০ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। 

লালমাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আইউব বলেন গ্রাম পুলিশ ও প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের সাহসীকতায় অনেকগুলো পরিবারের জীবন রক্ষা হয়েছে। তাদের এই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম (বার) মহোদয় তাদের পুরস্কৃত করেছেন। এভাবে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নারী শিশু নির্যাতনে পুলিশের পাশাপাশি  সমাজের লোকজন এগিয়ে আসলে সমাজের সকল অসংগতি দূর করতে সহজ হবে। 

No comments:

Post a Comment