প্রদীপ মজুমদার :
কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের মেহেরকুল দৌলতপুর গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাত ।
ইউএনও বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
এ খবর জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠান এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুল ওহাব সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিয়ে বাড়িতে মেয়ের মা বাবাকে বাল্যবিবাহের কুফল ও অাইনি নিষেধাজ্ঞার কথা বুঝিয়ে বলে বিয়ের বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। সাদিয়া আক্তারের পিতা আব্দুল খলিল মেয়ে সাদিয়া আক্তারের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা প্রদান করেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার. মো রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছি।
ইউএনও লালমাই বলেন,বাল্যবিবাহে শিশু, পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।সাদিয়ার মতো শিশুদের করুণ পরিণতি হতে রক্ষা করা দায়িত্ব বলেই এই বিয়ে বন্ধ করেছি। জনস্বার্থে এধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
No comments:
Post a Comment