আবদুল ওহাব :
কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়-মনোহরপুর এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইঞ্জিনিয়ার জামাল খান (৪২) নামে এক কম্পিউটার ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। ছিনতাইকালে নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ও শরীরে ছুরিকাঘাতে জখম করে। গত মঙগলবার ৩০ জুন ২.৩০ মি.সময় দিন-দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ব্যবসায়ী জামাল খান জানান, খন্দকার হক টাওয়ারের সামনে থেকে অটোরিক্সাটি রাজগঞ্জ যাওয়ার কথা বলে, অটোরিক্সায় ৩ জন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে বসে ছিল। অটো রিক্সাটি মাতৃভান্ডারের সামনে যাওয়ার পর ছিনতাইকারী দল আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম ক্ষত করে এবং আমার সাথে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে অটোরিক্সা থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয়। পরে ছিনতাই কাজে ব্যবহারিত অটো-রিক্সা ও ছিনতাইকারী চক্রের ৩ সদস্য সহ রাজগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় ব্যবসায়ী জামাল খান অজ্ঞাতনামা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ব্যবসায়ী জামাল খান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্য ও নিউ মার্কেটে জে.কে টেকনোলজিস বিডি লিঃ এর স্বত্ত্বাধিকারী। তাঁর গ্রামের বাড়ী আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামে।
অনেক দিন ধরে কুমিল্লা শহরে ছিনতাইকারীর উতপাৎ। নগরীর প্রাণ কেন্দ্র কান্দিরপাড়, ঝাউতলা, রাজগঞ্জ ও চকবাজারস্থ এলাকায় অটো রিক্সা চালক ও ছিনতাইকারী সদস্যরা যাত্রী সেজে ছিনতাই করে আসছে। কান্দিরপাড় থেকে যাত্রী ও চালক সেজে অতীতে ছিনতাই করেছে এমন উল্লেখ্যযোগ্য জায়গাগুলো হলো কুমিল্লা ষ্টেডিয়াম থেকে ঈদগাহ মোড় এবং মাতৃভান্ডার থেকে মনোহরপুর সোনালী ব্যাংক মোড়। এই দুটি স্পর্টে অধিকাংশ সময় ছিনতাই হয়ে থাকে। ওই ব্যবসায়ী সোমবার বেচাকেনা শেষে দুপুরে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ওই ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে গাড়ি থেকে ফেলানোর সময় দোকানদার, ব্যবসায়ী ও অসংখ্য মানুষ রাস্তায় উপস্থিত ছিলেন কিন্তু কেউ তাঁর চিৎকার চেচামেছি শুনে এগিয়ে আসেনি। ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment