লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
এক দু’বছর নয়, টানা ২৩ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করাচ্ছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার জামিরা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা। প্রায় দুই যুগেও এমপিওভুক্তি না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন মাদ্রাসার সুপারসহ ১২জন শিক্ষক ও ৩জন কর্মচারী।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নারীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯৯৮ সালে উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের জামিরা গ্রামে এক একর জমির উপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আবদুল খালেক মজুমদার। ২০০৪ সালে মাদ্রাসাটি দাখিল পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি পায়। মাদ্রাসা বোর্ড কতৃক স্বীকৃতি পায় ২০০৭ সালে। বর্তমানে মাদ্রাসায় ৪৫০জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। ২০১৯ সালে এবতেদায়ী ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে মাদ্রাসটি উপজেলার শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। জেডিসি পরীক্ষায় ৩৮জন ছাত্রী অংশগ্রহন করে সবাই কৃতকার্য হয়েছে। এদের মধ্যে ২জন জিপিএ-৫ এবং ২০জন জিপিএ-৪ পেয়েছে। এবতেদায়ী পরীক্ষায় ৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে সবাই কৃতকার্য হয়েছে। ২০২০ সালে মাদ্রাসাটি থেকে ২২জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, মহিলা মাদ্রাসা হওয়ায় মাদ্রাসার বেসরকারি কোন আয় নেই। আর্থিক সংকটে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
মাদ্রাসা পরিচলনা কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্তি করা দরকার।
No comments:
Post a Comment