Sunday 17 May 2020

কষ্টসহিষ্ণু পরীক্ষীত কর্মী বান্ধব নেতা 'কে এম সিংহ রতন'' : কুমিল্লার সময়





ইউনির্ভাসেল কামাল  : 
কল্যান মিত্র সিংহ রতন। রতন নামেই সুপরিচিত। জনতার রতন দা।  সদাহাস্যজ্বল নিবেদিত রতন। বেশ কর্মঠ ছিলেন। আর এটাই মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষন করে। তখন কল্যান মিত্র সিংহ রতন কুমিল্লায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। 
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের তথা বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগুরু ছিলেন বড়ইগাঁয়ের অধিবাসি শ্রীমত জ্যোতি পাল মহাথেরো। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে তুলেন। এজন্য তিনি স্বাধীনতা উত্তর আন্তর্জাতিক শান্তি পদকে ভূষিত হন। ৭৫ পরবর্তীতে রাজনীতিতে বৌদ্ধ অধ্যুসিত ঐ এলাকায় জ্যোতিপাল মহাথেরোর প্রভাবকে কালাম ভাই সফলভাবে কাজে লাগিয়েছেন। আর সে সুবাদে মিঃ রতন কালাম ভাইয়ের  সাথে বেশ ঘনিষ্ট সান্নিধ্য লাভ করে।
বিএনপি এবং স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক কর্মসুচি বাস্তবায়নে কালাম ভাই নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে রতন দা কে যে দায়িত্ব দিতেন, রাতবিরাত রতন দা সেই দায়িত্ব  সফলভাবে পালন করতো। ঐসব এলাকার নেতাকর্মিরা সবই রতন দার পরিচিত,প্রতিটি এলাকা তিনি চিনতেন,
বিশেষ করে হরতাল কর্মসূচির মতো কঠোর ও ঝুকিপূর্ন দায়িত্ব পালনে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে কালাম ভাই ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যখন সারারাত ট্রেনে আলিশ্বর, ময়নামতি, লালমাই, লাকসাম ষ্টেশনে  কাটিয়ে সকালে এসে কর্মসুচি বা পিকেটিং করতেন সেসব ক্ষেত্রে রতন দার ভূমিকা ছিলো স্মরণে রাখার মতো।
অনেক সুযোগ থাকা স্বত্বেও  রতন দা ছিলো খুবই সৎ।কালাম ভাই যখন রতন দা আর মরহুম তাহের মজুমদার কে রেডক্রসের বিভিন্ন কাজসহ উপজেলার কাজ পাইয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করেছেন তখন দেখেছি টেন্ডারের জানামত দেয়ার মতো টাকা তাদের কাছে থাকতোনা।
রতন দা ছিলো খুবই বিশ্বাসি। যারজন্য কালাম ভাই যখন ইন্ডাষ্টি তৈরী করেন, তখন মেশিনারিজ বুঝে নেয়ার জন্য রতন দা কে ভারতে পাঠিয়েছিলো।
চট্রগ্রামের নেতা আখতারু জামান বাবু ভাই যখন আত্নগোপনে থেকে আমাদের বুড়িচং সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান তখন রাতের বেলায় বিশ্বাসী সঙ্গী হিসাবে রতন দা কে তখন সাথে রেখেছিলেন কালাম মজুমদার সাথে ছিলেন রেজাউল করিম শামিম।
রতন দা ,খুবই অনুগত পরায়ন একজন মানুষ ।কালাম ভাই বলেছে,সেজন্য নানা প্রতিকুলতা সত্বেও রতন দা তৎকালীন টিএনও সিআর বড়ুয়ার শ্যলিকাকে বিয়ে করতে রাজি হন।
রতন,খুবই ধৈয্যশীল,কষ্টসহিষ্ণু এবং পরোপকারি মানুষ। তাকে কেউ খারাপ কথা বললেও সে উত্তেজিত হয়না,খাওয়া-দাওয়া ছাড়াই নিরলশ ভাবে কাজ করে যেতে পারেন। রাজনীতিতে এটা খুবই বড় গুন,আজকালতো দেখাই যায়না।
তিনি আমৃত্যু মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার এর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন।
অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের মৃত্যুর পর আজকের অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফ সিএ (লোটাস কামাল) এমপির সাথে কাজ শুরু করেন।
অত্যন্ত দক্ষতার গত ২৫ বছর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে আজকের অর্থ মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কাজ শুরু, ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে আ হ ম মুস্তফা কামাল এফ সিএ এমপি যখন অর্থ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি তখন আরো ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করার সুযোগ হয়। 
পরে পরিকল্পনা মন্ত্রী ও বর্তমানে আজকের অর্থ মন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব হিসেবে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন পরীক্ষিত কর্মী বান্ধব নেতা কল্যান মিত্র সিংহ রতন। 

বাবু কল্যান মিত্র সিংহ রতন এর জন্য আমাদের নিরন্তর শুভ কামনা।।

কৃতজ্ঞতাঃ Rezaul Karim Shameem

No comments:

Post a Comment