লালমাই প্রতিনিধি :
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের কাকসার গ্রামের মরিয়ম (৪০) এর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের। এটি কি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকান্ড- তা নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। গত ৯ মে শনিবার ভোরে প্রতিদিনের মত হাঁটতে যান মরিয়ম। সকাল ৯ টায় খবর পায় তার বাড়ীর থেকে এক কিলোমিটার দূরে হাড়গিলায় রেলে কাটা পরে আছে মরিয়মের লাশ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় মরিয়মের স্বামীর বাড়ী কুমিল্লার শাকতলায়। তার স্বামী শহীদউল্যা একজন প্রবাসী। তাদের সংসারে দুই মেয়ে আছে। একজনকে বিয়ে দিয়েছে ছোট মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। মরিয়ম তার মায়ের মৃত্যুর পর কাকসারে পৈত্রিক ভিটায় পিতার দান কৃত দুই শতক জায়গাতে ঘর তুলে প্রায় বার বছর ধরে বসবাস করতে আসছেন। তার পিতা আবদুল জলিল ও ছোট মেয়ে সহ একই ঘরে থাকতেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন মরিয়মের ছোট ভাই হাসানের ২০১৮ সালে বিয়ে হয় উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ের সাথে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে কলহ বিবাদ লেগে থাকে। এগুলো নিয়ে তার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাজী আবুল সহ অন্যরা বিভিন্ন সময় তাকে শাসাত। এনিয়ে শালিস দরবারও হয়। শালিস দরবারের একদিন পরেই রেলে কাটা পরে মৃত্যু হয় মরিয়মের। লকডাউনের সময় রেলযোগাযোগ বন্ধ দু'একটা মাল গাড়ি চলাচল করছে। মরিয়ম শক্ত-সামর্থ্যই ছিলো কিভাবে রেলগাড়ীর নিচে পড়লো তাই তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট খুলছে না।
এ ব্যাপারে লাকসাম রেলওয়ের থানা জি আর পি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নিজাম উদ্দীন বলেন, লকডাউনের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ গত ৯মে শনিবার সকালে মাল গাড়ি ট্রেন যাওয়ার সময় মহিলা কাটা পরে। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্ত করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment